সরিষা ফুলের মধু হলো বাংলাদেশে এখনকার সবচেয়ে বেশি চাষ হওয়া একটি মধু। কারণ এটা সহজলভ্য এবং খরচও কম। তবে এই মধুর ঘ্রাণ একটু তীব্র হয়, মুখে দিলেই সরিষা ফুলের ঘ্রাণ আসে, হালকা সাদাটে সোনালি রং হয় এই মধুর।
সরিষা ফুলের মধুর উপকারিতা গুলো হলো:
- সরিষা ফুলের মধুর ঝাঁজ ভাব কাশি, সর্দি ইত্যাদি সমস্যা নিরাময় করে। নিয়মিত এই মধু খেলে অথবা বুকে মাখা হলে তা ঠাণ্ডার সমস্যা দূর করে দেয়।
- হজমশক্তি বৃদ্ধির জন্য সরিষা ফুলের মধু খাওয়া হয়। খালি পেটে এই মধু খেলে তা পেটের মধ্যে থাকা গ্যাসগুলো বের করে দেয় এবং হজমে সাহায্যে করে।
- সরিষা ফুলের মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- সরিষা ফুলের মধুর সাথে কালোজিরা মিশিয়ে খেলে তা রক্তনালির বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। এবং রক্ত চলাচলের উন্নতি হয় এবং দেহের সকল কোষ সচল থাকে।
- শরীলের ক্ষত নিরাময়ের জন্য নিয়মিত সরিষা ফুলের মধু খাওয়া হয়।
- নিয়মিত সরিষা ফুলের মধু খেলে শরীলের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
- নিয়মিত খেলে কোলেস্টরল এর মাত্রা কমায় যা হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
- নিয়মিত সরিষা ফুলের মধু খেলে তা রক্ত পরিষ্কার করে এবং রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে।
- সরিষা ফুলের মধু সাধারণত, হৃদরোগ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, গ্যাস্ট্রিক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যার জন্য খাওয়া হয়ে থাকে।
সরিষা ফুলের মধু চেনার উপায় বা সরিষা ফুলের মধুর বৈশিষ্ট্য গুলো হলো:
- সরিষা ফুলের মধু ঘনত্ব একটু ঘন এবং দেখতে হালকা অ্যাম্বার রঙের হয়ে থাকে।
- সরিষা ফুলের মধু ফ্রিজে বা ঠাণ্ডা জায়গায় রাখলে জমে যাবে। কারণ এতে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি রয়েছে।
- সরিষা ফুলের মধুর ঘ্রাণ সাধারণত সরিষার মতই হয়।
- বোতলে ফেনা দেখতে পাবেন বা ঘনত্ব বেশি হলেও একটু ফেনা থাকবে।
- এই মধুর স্বাদ অনেক ভালো, কিন্তু প্রায় সময় একধরনের ঝাঁঝালো স্বাদ পাবেন।
- সরিষা ফুলের মধু কিছুদিন জমে থাকলে সাধারণত সাদা রঙের মতো দেখা যায়।
- শীতকালে এই মধু একেবারে জমে ক্রিমের মতো হয়ে যাবে। এবং একে ‘ক্রিস্টাল হানি’ও বলা হয়।
- এই মধু সারাবছর প্রায় জমে থাকে। তবে গরমকালে তা আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে।
- বেশিদিন সংরক্ষণ করার জন্য অবশ্যই শুকনো চামচ ব্যবহার করবেন।